সাদা চিনির সাথে আমরা সকলে পরিচিত। কিন্তু লাল চিনির সাথে আমরা খুব একটা পরিচিত নই। তাই আমরা জানি না কোন চিনি আমাদের শরীরের ক্ষতি ছাড়াই মিষ্টি স্বাদ উপভোগ করতে দেয়। আমাদের দেশে তৈরি লাল চিনি হলো সরাসরি আখ থেকে তৈরি অপরিশোধিত চিনি। লাল চিনিতে থাকে আখের সব উপাদান। যেমন: শর্করা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থায়ামিন, রিবোফ্লবিন, ফলিক এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি। লাল চিনিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম। যার কারণে লাল চিনি খেলে হাড় শক্তপোক্ত হয়। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। ক্যাভিটি এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কাও দূর হয়।
আখের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং শরীরের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়।
শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
আখে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের মিনারেল তথা খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে, যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
সাদা চিনির চেয়ে লাল চিনি খাওয়া শরীরের জন্য উপকার। সাদা চিনি বিভিন্নভাবে শরীরের অপকারে ভূমিকা পালন করতে পারে। সাদা চিনি খেয়ে ডায়াবেটিস, হার্ট এট্যাক ও লিভার বিকল হতে পারে। তাছাড়া ত্বকের জন্যেও ভালো না।
সাদা চিনি বা রিফাইন করা চিনি যে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সে সম্পর্কে ড.উইলিয়াম কোডা মার্টিন এক গবেষণাপত্র বের করেছিলেন।
ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন গবেষণাপত্রে বলেন,
“চিনি রিফাইন করে সাদা করার জন্য চিনির সাথে যুক্ত প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল সরিয়ে শুধু কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা রাখা হয়। কিন্তু শুধু কার্বোহাইড্রেট শরীর গ্রহণ করতে পারে না। মিনারেল ও ভিটামিনবিহীন কার্বোহাইড্রেট দেহের মধ্যে টক্সিক মেটাবোলাইট সৃষ্টি করে। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে।”
গ্রামের বাড়ির পণ্য
কথায় না গুণে বিশ্বাসি