Description: Gawa Ghee(500 gram)
Product Details:Gawa Ghee
Weight: 500gm
Quantity:1
Country: Bangladesh
রান্নায় স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে ঘি-এর কোনও তুলনা হয় না। নিরামিষ হোক বা আমিষ , যে কোনও পদেই সেরা এই উপকরণ। স্বাদ ছাড়াও ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। সেই পুরানকাল থেকেই ঘি নানা কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদেও এর গুরুত্ব অনেক। ঘি কে “Tongue Of The God” বা “Navel Of Immortality” নামে বলা হয়। এখন অবশ্য ঘি কে বাদ দেওয়া হয়। বিশেষ করে যাঁরা ডায়েটিং করার নামে গোটা দিনটাই খাওয়াই ছেড়ে দেন তাঁরা ঘি কে কোনওভাবেই রাখেন না। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে, তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, ঘি তখনই শরীরের ক্ষতি করবে যখন তা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় । তাই ঘি-এর উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ মেনে খেতে হবে। শীতকাল ছাড়াও গরমের সময়ও কিন্তু ঘি খাওয়া ভালো। আর তা খেতেও পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ঘি: শক্তি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর প্রোটিন শরীরে পুষ্টি যোগায় আর হরমোন তৈরি করতে ফ্যাট সহায়তা করে। তাই বিশেষজ্ঞরা গরমে পাতে ডাল রাখার পরামর্শ দেন। গরমের সময় আপনি যদি মুসুর ডাল, রুটির সঙ্গে বা তরকারিতে এক চামচ ঘি দিয়ে খেতেই পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ে ফ্যাট এর পরিমাণ যথেষ্ট বেশি, তাই যাঁরা ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য ঘি ভাত আলুসিদ্ধ খাওয়া উচিত।ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে: আমরা যাই খাই না কেন,যে কোনও মরসুমে ইমিউনিটির প্রয়েজনীয়তা সবচেয়ে বেশি দরকার হয়। ঘি-এর মাধ্যমে শরীরে ইমিউনিটি বেড়ে যায়। ঘি খাওয়ার ফলে নানা রকম সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পাই সহজেই। পুষ্টিবিদদের মতে, ঘি-এ রয়েছে বাটরিক অ্যাসিড। স্বল্প সময়ের ফ্যাটি অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো। এতে উপস্থিত ভিটামিন A এবং C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে: খালি পেটে ঘি খেলে হজমের সাহায্য করে। আয়ুর্বেদের মতে, ঘি শরীরের হজম উন্নতি এবং পুষ্টির মান শোষনের অন্যতম। এতে প্রচুর পরিমাণে বিউটারিক এসিড যা ইন্টেস্টাইনর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই যে কোনও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয় সামান্য হলেও, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।গরমের সময় শরীরে জলের অভাব মেটায় সহজে: ঘি আমাদের শরীরের ভিতরে আর্দ্রতা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। আসলে এতে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদের মতে ঘি খাওয়া ভালো বিশেষত গরমের সময় যখন শরীরে জলের অভাব হয়। শুধু তাই নয়, ঘি খেলে ত্বকেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে ঘি এর Antiviral ও Anti Fungal বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী লাউরিক এসিড। ঘি এর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মিশ্রণ ঘরোয়া উপায় হিসাবে গন্য করা হয়।গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে: অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের মন এবং শরীরে শীতলতা অনুভূত হয়। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘি প্রদাহ হ্রাস করার পাশাপাশি শরীরকেও শিথিল রাখতে সাহায্য়। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির। এই কারণে ভরা গরমেও ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বলা হয় ঘি এর সঙ্গে যদি অশ্বগন্ধা বা ব্রাহ্মীশাক মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রতিবেদনটি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গরমে ঘি খাওয়া কতটা জরুরি।