মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত কারণ দিনের বেলা নিশ্ছিদ্রভাবে কাজ করার জন্য মানসিক শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মন বা মস্তিষ্ক শরীরের সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় কোনো ব্যাঘাত ঘটলে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক পরিণতি হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করে। বিরক্ত মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার চিন্তাশক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ

আপনি যখন মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগবেন তখন আপনি কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ অনুভব করবেন। আপনি মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে লড়াই করছেন এমন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন সাজানো হয়েছে। এই লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে পরিলক্ষিত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন..

খিটখিটে আচরণ

মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকেরা প্রায়ই তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে বিরক্তিকর আচরণ দেখায়। তারা রাগ, জ্বালা, হতাশা এবং দুঃখ অনুভব করে। আপনি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারেন এবং তুচ্ছ বিষয়গুলোর দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হতে পারেন।

ঘুমিয়ে পড়তে অসুবিধা

আপনি যদি রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারেন, তাহলে এটা হতে পারে আপনি মানসিক রোগে ভুগছেন। আপনি যদি বারবার ঘুমিয়ে পড়া বা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা অনুভব করেন এবং তারপরে ঘুমাতে না পারেন, তাহলে আপনাকে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।

ক্ষুধামন্দা

আপনি যদি খেতে না চান বা খাওয়ার তাগিদ না থাকে, তাহলে আপনি হয়তো কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার ফলে ক্ষুধা কমে যায়।

জীবনে কোন আগ্রহ নেই

যারা দুঃখী ও বিষণ্ণ বোধ করেন তারা কোনো কিছুতেই খুশি হন না। তারা বন্ধুদের সঙ্গ উপভোগ করতে চায় না। তারা প্রতিদিনের কাজ করার মধ্যে উত্তেজনা বা আনন্দ খুঁজে পায় না।

শারীরিক সমস্যার অভিজ্ঞতা

মানসিক রোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল আপনি শারীরিক সমস্যায় ভুগবেন। আপনি গ্যাস্ট্রিক উপসর্গ, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি অনুভব করতে পারেন।

ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ করা

আপনি যদি সারাদিন ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করেন এবং ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে আপনি হয়তো কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। অবস্থার সঠিক নির্ণয়ের জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পরিচালনার জন্য পেশাদার চিকিৎসকের সাহায্য চাইতে পারেন। একেক জনের চিকিৎসা একেকভাবে করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক স্বাস্থ্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আপনি যদি মানসিকভাবে স্থিতিশীল এবং সুস্থ থাকেন তবেই আপনি ভাল শারীরিক স্বাস্থ্য উপভোগ করতে পারবেন। সুতরাং, ভাল শারীরিক স্বাস্থ্য উপভোগ করার জন্য স্বাস্থ্যকর মানসিক অভ্যাস প্রয়োগ করুন।

পেশাদার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বা এখানে ক্লিক করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।