;;
রমজান মাসে অনেকে
চিন্তিত থাকেন যে এই মাসে কীভাবে শরীরের পুষ্টির সাথে প্রতিদিনের ব্যায়ামের ভারসাম্য
রাখবেন। আপনি যদি ৩০ দিন রোজা রেখে স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি আপনার ফিটনেসও অক্ষুণ্ণ
রাখতে চান, তাহলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
বিশেষজ্ঞরা রোজার
মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে পরামর্শ দেন। অনেক মানুষ বলে থাকেন, রোজার প্রথম
কয়েকদিন তারা মাথা ব্যাথায় ভোগেন। এটি সাধারণত পানিশূণ্যতার কারণে হয়ে থাকে। এজন্য
স্বাভাবিক সময়ে আমরা যেই পরিমাণ পানি পান করে থাকি, রোজার সময় একই পরিমাণ পানি সন্ধ্যা
থেকে ভোর পর্যন্ত পান করতে হবে। অর্থাৎ, ঐ সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর অল্প অল্প পানি
পান করা যেতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় খেয়ে অভ্যস্ত থাকেন, তাহলেও
রোজার প্রথম কয়েকদিন আপনার মাথা ব্যাথা হতে পারে। কারণ ক্যাফেইনের অভ্যাস থাকা ব্যক্তিদের
শরীরে ক্যাফেইনের ঘাটতি হলে মাথা ব্যাথা তৈরি হয়।
দিনের প্রথম খাবার পুষ্টিকর রাখুন
আপনি যেহেতু রমজান
মাসে তিনবারের পরিবর্তে দুইবার খাবার গ্রহণ করবেন সেক্ষেত্রে আপনার ঐ দুইটি খাবার যেন
আপনাকে সারাদিনের চালিকাশক্তি দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও মানুষ অনেক সময়
মনে করে, তারা যেহেতু দুর্বল অনুভব করছে তাই ভোররাতে সেহেরি না খেয়েই রোজা রাখবে। কিন্তু
এরকম ক্ষেত্রে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়।
ইফতারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করা
আপনার ভোররাতের খাবারে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবারের পাশাপাশি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা-জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। সাথে যদি কিছু সবজি ও ফল থাকে তাহলে তা বোনাস। পুষ্টিবিদদের মতে, যাদের অভ্যাস নেই তাদের জন্য এত সকালে খাওয়া অনেক সময় বেশ কষ্টকর হতে পারে। তবে মানুষের শরীর দ্রুত এই অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। প্রথম কয়েকদিন যদি আপনার খুব ভোরে খেতে কষ্ট হয়, তাহলে শুরুতে কয়েক কামড় খাবেন। সাধারণত চতুর্থ বা পঞ্চম দিনের মধ্যে ব্যক্তির ঐ সময় খাবার গ্রহণের অভ্যাস হয়ে যায়।
যেহেতু রোজার সময়
আমরা সারাদিন না খেয়ে থাকি, ইফতারের সময় আমাদের অনেকেরই মনে হতে পারে যে সারাদিনের
প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে অনেক খেতে হবে। বিশেষত বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে
খাওয়ার সময় এই প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেশি কাজ করে। ফলে, ইফতারে আমরা অনেকেই যা খাই
তা অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার হয়ে যায়। যদি সপ্তাহে একদিন কিছুটা বেশি খাওয়া হয়,
তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু রমজান মাসে দেখা যায়, প্রতিদিনই আমরা অতিরিক্ত ইফতার খেয়ে
ফেলি। তাই কার্যত সারাদিন না খেয়ে থাকলেও, দিন শেষে দেখা যায় আমরা অন্য সময়ের চেয়ে
বেশি খেয়ে ফেলছি। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল অনুভব করতে পারেন
এবং পরেরদিনের রোজার জন্য উৎসাহী অনুভব নাও করতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা বলেন,
আপনি পানি দিয়ে ইফতার শুরু করুন এবং এরপর খেজুর ও কিছু ফল খান। এরপর খাবার খওয়ার আগে
প্রার্থনা শেষ করুন। খাওয়ার সময় আপনার ঐতিহ্যবাহী খাবারই খান, কিন্তু সেখানে যেন প্রোটিন
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও সবজি থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেখানে সুপ, স্টু, মাছ বা মুরগির
মাংসের আইটেম থাকতে পারে।
খাওয়ার ভারসাম্য বজায় রাখুন
আপনি যদি কোনো
দাওয়াতে বা পরিবারের সদস্যদের সাথে খেতে বসেন, তাহলে সব আইটেম খাওয়ার একটা চাপ অনেক
সময় থেকে থাকে। এক্ষেত্রে খাওয়ার সময় ধীরে খাওয়া শেষ করুন। সময় নিন, আশেপাশের মানুষের
সাথে কথা বলুন। আপনি যদি কোনো দাওয়াতে গিয়ে তাকেন আর আপনার হোস্ট আপনার প্লেট খালি
দেখে, তাহলে আপনাকে আবার খেতে বলতে পারে। সুতরাং খুব ধীরে নিজের খাবার শেষ করুন যেন
আরো খাবার নিতে কেউ চাপ না দিতে পারে।
ব্যায়ামের সময় নির্ধারন করা
অধিকাংশ মানুষই ইফতারের এক বা দুই ঘণ্টা আগে ব্যায়াম করতে
স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কারণ সেক্ষেত্রে ব্যায়াম শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা খাবার
ও পানি পেতে পারে। তবে এই পদ্ধতি যদি আপনার সূচীর সাথে কাজ না করে, তাহলে আপনি আপনার
নিজস্ব সূচী অনুযায়ী চলতে পারেন। রোজা রেখে কোন সময় ব্যায়াম করবেন, তা নির্ধারন করা
জরুরি।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি
Nationwide Delivery: We are committed to making your shopping experience hassle-free. Benefit from our nationwide delivery service, ensuring that you can enjoy the best of Bangladeshi lifestyle products, no matter where you are.
Elevate your lifestyle with Healthy Living BD - where tradition meets modernity, and well-being is a way of life. Join us on this journey of cultural discovery and conscious living. Shop with us today!