কেমন হওয়া উচিৎ কর্মজীবী মায়েদের ডায়েট প্ল্যান?

Feb 27, 2024
পুষ্টি ও ডায়েট
কেমন হওয়া উচিৎ কর্মজীবী মায়েদের ডায়েট প্ল্যান?

গৃহিনী ও কর্মজীবী ​​মায়েদের জীবন সম্পূর্নভাবে আলাদা। কর্মজীবী মায়েরা তাদের ঘর ও কর্মস্থল একসাথে সামলায়। কাজের তাড়াহুড়ার মাঝে তারা নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পায় না। যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। ডেস্ক জব করার ফলে শরীরে মেদ জমে যায়। তাই কর্মজীবী মায়েদের খাদ্যতালিকা হওয়া উচিত স্বাস্থ্যসম্মত। খাবারে ভারসম্যতা বজায় রাখলে শারীরিক ভাবে নিজেকে ফিট রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। দৈনিক কাজের শত ব্যস্ততার মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিকল্পনা করা উচিত।

কর্মজীবী মায়েরা সময় বাঁচাতে অফিসে প্রক্রিয়াজাত খাবার বহন করে থাকেন। এতে ওজন বেড়ে যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং পরবর্তীতে মেনোপজের ফলে হাড়ের ক্ষয় হওয়া শুরু করে। ৩০’এ পৌঁছানোর পর, হাড়ের ক্ষয় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। তাই প্রত্যের নারীরই নিজের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কর্মজীবী মায়েদের ডায়েট প্ল্যানে যে জিনিসগুলো থাকা উচিৎ সেগুলো নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা

প্রতিটি বয়স, গোষ্ঠী, লিঙ্গ এবং শারীরিক কার্যকলাপের জন্য পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একজন মহিলার প্রতিদিন ১৭০০ ক্যালোরির, ২৫ গ্রাম চর্বি, ৮০০ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৫ এমজি আয়রন ও ৪৫ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তাই খাদ্যতালিকায় সব ধরনের পুষ্টি রাখার চেষ্টা করুন।

সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাবেন না

কেবল কফি দিয়ে আপনার দিন শুরু করবেন না। নাস্তার প্লেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার রাখুন। যা আপনাকে মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত শক্তি দেবে। নাস্তায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। সেদ্ধ ডিম, খেজুর, দুধ, দই, ডাল খেতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস

স্ন্যাকস হিসেবে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনাবাদাম, ফল, নারিকেল ও দই খান। এগুলোর জন্য আপনাকে রান্না করতে হবে না। আপনার সময়ও বেঁচে যাবে।

মধ্যাহ্নভোজ

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা বেছে নিন। দুপুরের খাবারে ডিম, মাছ, মটরশুটি, ডাল, শাকসবজি, মাংস খেয়ে নিন। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

হ্যাপি ফুড

অতিরিক্ত কাজ এবং চাপ অনুভব করলে কলা, বেরি, মটরশুটি, ডার্ক চকলেট, নারকেল খান। এসব খাবারে রয়েছে ফেনোলিক যৌগ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এগুলো বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। তাই এসব খাবার হ্যাপি ফুড নামে পরিচিত।  এই খাবারগুলি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।

খাবারের পরিমাণ

একসাথে অতিরিক্ত খাবেন না। চেষ্টা করুন, খাবার দ্বিতীয় বার না নেওয়ার। একটি খাবার প্লেটে সব কিছু নিয়ে নিন। এবার আস্তে আস্তে খান। দেখবেন খাবারের পরিমাণ বজায় থাকবে।

হলুদের দুধ

হলুদের দুধ ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা মেটায়। ঘুমের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এক গ্লাস হলুদের দুধ পান করুন।

বাদাম

বিছানায় যাওয়ার আগে কিছু বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর খেয়ে নিন। এগুলো স্বাস্থ্যকর চর্বি ও শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে।

Recent Posts

এই গরমে ঘামাচি হলে করণীয়…

Apr 26, 2024
রূপ বা ত্বক পরিচর্যা

গরমে যেভাবে আরামে ঘুমাবেন..

Apr 22, 2024
শারীরিক স্বাস্থ্য

অতি গরমে করণীয় ও বর্জনীয়..

Apr 21, 2024
শারীরিক স্বাস্থ্য

তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক হলে করণীয়...

Apr 21, 2024
শারীরিক স্বাস্থ্য

গরমে পানিশূন্যতা হলে বোঝার উপায়...

Apr 20, 2024
রোগ প্রবণতা ও উপকরণ

Welcome to Healthy Living BD - Elevate Your Lifestyle!

Nationwide Delivery: We are committed to making your shopping experience hassle-free. Benefit from our nationwide delivery service, ensuring that you can enjoy the best of Bangladeshi lifestyle products, no matter where you are.
Elevate your lifestyle with Healthy Living BD - where tradition meets modernity, and well-being is a way of life. Join us on this journey of cultural discovery and conscious living. Shop with us today!

All categories
Flash Sale
Todays Deal