কিডনি কেবল শরীরের রক্ত শোধন বা বজ্য নিষ্কাশনই করে না; রক্তকণিকা তৈরি, হাড়ের সুস্থতা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষাসহ আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে এই সবকিছু ওপরই প্রভাব পড়ে। কিডনির রোগ যেমন জটিল তেমনি এর চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অকার্যকারিতায় শেষ অবধি ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আমাদের দেশে এই দুটো চিকিৎসাই সাধারণের সামর্থ্য ও আয়ত্তের বাইরে। কিডনি বিকল হওয়ার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ বা গ্লোমেরুলোনেফ্রাটিস-যা ছোটদেরও হতে পারে, পাথর, ক্যানসার ইত্যাদি, তার সঙ্গে নানা ওষুধ ও রাসায়নিকের বিষক্রিয়া। একটু সচেতন থাকলেই আমরা এসব থেকে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোড প্রতিরোধ করতে পারি।
ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে আমাদের কাছে অন্যতম পরিচিত হচ্ছে কিশমিশ। পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় মূলত কিশমিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন। বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ দিলে স্বাদ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে যদি স্বাদ না পান, তবে স্বাদ বৃদ্ধি করতে সেগুলো কিশমিশের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে পারেন। কিশমিশ অনেক পরিচিত হলেও কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেই জানেন না। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে এটি। জানুন কিশমিশ খাওয়ার সাতটি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে…
সাধারণত আইসক্রিম বা সিঙ্গারা-সমুচার মতো খাবারগুলো আমাদের জিহ্বার তৃপ্তি ও মনের আনন্দ দিতে পারে। আবার খেয়াল করে দেখবেন যে মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতার সময় অনেকের ভারী চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা ও ক্ষুধা দুটোই যেন বেড়ে যায়। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির জন্য এসব নয় বরং স্বাস্থ্যকর খাবারই বেশি উপযুক্ত। সুস্থ ও প্রফুল্ল মনের সাথে আমাদের খাদ্যাভাসের যে সরাসরি সম্পর্ক থাকে এটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।
গৃহিনী ও কর্মজীবী মায়েদের জীবন সম্পূর্নভাবে আলাদা। কর্মজীবী মায়েরা তাদের ঘর ও কর্মস্থল একসাথে সামলায়। কাজের তাড়াহুড়ার মাঝে তারা নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পায় না। যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। ডেস্ক জব করার ফলে শরীরে মেদ জমে যায়। তাই কর্মজীবী মায়েদের খাদ্যতালিকা হওয়া উচিত স্বাস্থ্যসম্মত। খাবারে ভারসম্যতা বজায় রাখলে শারীরিক ভাবে নিজেকে ফিট রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। দৈনিক কাজের শত ব্যস্ততার মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিকল্পনা করা উচিত।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে, ফলে ৬০-৬৫ বছরের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু একটুখানি সচেতন থাকা আর কিছু নিয়ম মেনে চললে ৬৫-এর পরেও আমরা থাকতে পারি একেবারে ফিট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলো সম্পর্ক..
শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভালো স্বাস্থ্য মানে মানসিক আর শারীরিক দুই দিক থেকেই সুস্থ বা ঠিক থাকা। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে শরীরেও এর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ঠিকমতো চালিয়ে নিতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সেই সহজ কিছু নিয়ম নিয়েই আমাদের এই আয়োজন…
আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে মূত্র তন্ত্র বা মূত্রনালি, ইংরেজিতে urinary system, renal system বা urinary tract নামেও পরিচিত। মূত্রতন্ত্রের মধ্যে থাকে ২টি কিডনি, ২টি ইউরেটার, একটি মূত্রথলি বা ব্লাডার। মূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর সংক্রমণ হলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের সংক্রমণ বলে। ডাক্তারি ভাষায় একে 'ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা ' ইউটিআই ' বলে। সংক্ষেপে, মূত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশ যদি জীবাণু দিয়ে সংক্রমিত হয়, তাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন বলে।
শীত প্রায় চলেই যাচ্ছে। এখন এমন এক আবহাওয়া চলছে যেমন হালকা শীত, হালকা গরম। ত্বকের ওপর প্রভাব তো অবশ্যই পড়ছে। তাই প্রতিদিন ত্বকের যত্নে নিতে এবং সৌন্দর্য ধরে রাখতে যে জিনিসগুলো ব্যবহার করতে পারেন সেটা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ। ২০৪৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে দেড় কোটিতে।
ডায়েট মানে হল ব্যালান্সড চার্ট। মানে যার শরীরে যতটা সহনশীল হয়, তাকে ঠিক ততটাই খাবার দেওয়া। আর খাবার দিলেই হল না, তাতে পুষ্টি উপাদান কতটা আছে সেটাও যাচাই করা দরকার। যদিও ডায়েট সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। এক একজন মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে যে সে কেমন ডায়েট অনুসরণ করবে বা করা উচিত। কেউ ওজন বৃদ্ধির জন্য বা কেউ ওজন কমাতে আবার কেউ পেশি গঠনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করে। কিন্তু ডায়েট নিয়ে মানুষের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
স্বাস্থ্যকে বলা হয় সকল সুখের মূল। যদি স্বাস্থ্য ভালো না থাকে তাহলে কোনো কাজ করতে ভালো লাগেনা। এছাড়াও স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না। এজন্য স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের এই আয়োজনে থাকছে স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি উপায়।
সাদা চিনির সাথে আমরা সকলে পরিচিত। কিন্তু লাল চিনির সাথে আমরা খুব একটা পরিচিত নই। তাই আমরা জানি না কোন চিনি আমাদের শরীরের ক্ষতি ছাড়াই মিষ্টি স্বাদ উপভোগ করতে দেয়। আমাদের দেশে তৈরি লাল চিনি হলো সরাসরি আখ থেকে তৈরি অপরিশোধিত চিনি। লাল চিনিতে থাকে আখের সব উপাদান। যেমন: শর্করা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থায়ামিন, রিবোফ্লবিন, ফলিক এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি।
Nationwide Delivery: We are committed to making your shopping experience hassle-free. Benefit from our nationwide delivery service, ensuring that you can enjoy the best of Bangladeshi lifestyle products, no matter where you are.
Elevate your lifestyle with Healthy Living BD - where tradition meets modernity, and well-being is a way of life. Join us on this journey of cultural discovery and conscious living. Shop with us today!